ছবি দেখে বোঝার জো নেই যে তারা অপরাধী আর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
ছবি দেখে মনে হচ্ছে মনের আনন্দে কপি শপ এ বসে পজ নিচ্ছে মামা চাচাদের সাথে।বলছি সাম্প্রতিক দেশ জুড়ে ভাইরাল হওয়া এলএসডি প্রসঙ্গ নিয়ে।
তাদের এই হাসির কারণ কি??
- সরকার পক্ষের আইনজীবী র মতে- অর্থ অহংকারে তাদের এই হাসি।তাদের অঘাত বিশ্বাস আছে আইন তাদের কিছুই করতে পারবে না।পিতৃ অর্থ বলে ঠিকই তারা চলে আসবে বাহিরের হাওয়ার ছায়া তলে।
যে যাই বলুক নেটিজেনদের মাঝে দেখা গেছে তুমুল উত্তেজনা। সামাজিক সব সাইটে শত শত মিম তৈরি করছে তারা।দেখা দিয়েছে বাড়তি উন্মাদনা।
গত ১৫ ই মে মোস্তাফিজুর রহমান নামক এক ঢাবি শিক্ষার্থীর নিজের গলা নিজে কাটা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে। কেউ কেউ মন্তব্য করে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে উক্ত শিক্ষার্থী কে। এ নিয়ে তদন্ত করতে গেলে বেরিয়ে আসে রোমাঞ্চকর তথ্য।দেশে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে এলএসডি নামক বিষাক্ত মাদক বিক্রেতা চক্র। জানা যায় অনলাইনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এইজঘন্য কার্যক্রম গোপনে অব্যাহত রাখে একটি কুচক্রী মহল। তাদের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু মতামত নিম্নে উল্লেখ করা হলো--
প্রত্যেক বিজনেসের কিছু পলিসি আছে।তেমনি অবৈধ মাদক, অস্ত্র বিক্রেতা এবং চোরাকারবারীদের বিজনেস পলিসি হলো তারা তাদের নতুন পণ্যের প্রচারের জন্য ছোট একটি চালান ইচ্ছাকৃত ভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা খাওয়ায় যাতে বিনামূল্যে তারা মিডিয়া কাভারেজ পেতে পারে।এই মিডিয়া কাভারেজের মাধ্যমে তারা তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয় যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জানতে পারে পণ্যটি কি, তার কাজ কি এবং কোথায় পাওয়া যায়।মিডিয়াও অজান্তেই তাদের ফাঁদে পা দেয় যার ফলশ্রুতিতে মাদকদ্রব্য এবং অবৈধ অস্ত্রের এত ব্যাপকতা।
বিশ্লেষকরা বলছেন সম্প্রতি মিডিয়ার হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রচার লাভ করল ভয়ঙ্কর মাদক এল এস ডি।মাদক সহ আটক হওয়া যুবকদের আচরণ বর্তমানে দেশজুড়ে ভাইরাল এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু যা মাদকটি সম্পর্কে মানুষকে আকর্ষিত করবে।বাংলাদেশের মানুষ অচিরেই হয়তো এই ভয়ংকর মাদকের ব্যাপকতা উপলব্ধি করতে পারবে।
এর আগে গত 15 ই মে ঈদের পরের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। এসে বিষাক্ত মাদক এলএসডি সেবন করে এক রিকশাওয়াল র সাথে অসদাচরণ করে হলে ফিরলে তার বন্ধু বান্ধব দের কাছে এর জন্য তিরস্কারের শিকার হন।তারপর তার মাঝে অনুতপ্ত তা কাজ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থেকে শুরু করে শহীদ মিনারের সামনে পর্যন্ত সকল রিকশাওয়ালার পায়ে পরে ক্ষমা চাওয়া শুরু করেন।কিন্তু এতেও অনুতপ্ত তা না করলে এলএসডি সেবন করে দা নিয়ে নিজের গলায় নিজে আঘাত করতে থাকেন।এক পর্যায়ে অবস্থা খারাপ হয়ে জ্ঞান হারালে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হলেও অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজুর।
"উল্লেখ্য এলএসডি বা লাইসার্জিক এসিড ডাইথেলামিড হলো মাদকের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত উপাদান যা পরিমাপ করা হয় মাইক্রো গ্রামে।১৯৩৮ সালে উদ্ভাবিত এ মাদক ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ভয়াল মাদকের সব শেষ এই উপাদান টি প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে ধরা পড়েছে।"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন